নির্বাচিত পোস্টসমূহ
Home » ইসলাম » কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা বৈধ ?

কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা বৈধ ?

গীবত করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। আর ইমাম নববী (রহ:) বলেন, ”সৎ ও শরীয়ত সম্মত উদ্দেশ্য সাধন যদি গীবত ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে গীবত জায়েয।” তার মতে ছয় ধরনের গীবত জায়েয। যথা:

১. মজলুম ব্যক্‌তি জালেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে।

২. ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোন ব্যক্তির দোষ এমন ব্যক্তির কাছে বলা, যে তা সংশোধন করার ক্ষমতা রাখে।

৩. মুফতির নিকট মাসয়ালা জানতে গিয়ে প্রয়োজনে কোন ব্যক্‌তির (সম্ভব হলে নাম উল্লেখ না করে) ত্রুটি বলা যায়।

৪. কোন ব্যক্‌তি কারো সাথে বিয়ে বা ব্যবসায়ের সম্পর্ক করতে চাইলে এবং তার সম্পর্কে অন্য ব্যক্‌তির সাথে পরামর্শ চাইলে তার দোষ-গুণ স্পষ্টভাবে বলে দেবে যা সে জানে (মনে হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে)।

৫. যে সবলোক সমাজে প্রকাশ্যে পাপ কাজ, বিদয়াত বা গোমরাহীর প্রসার ঘটাচ্ছে, তাদের দোষ-ত্রুটির তীব্র সমালোচনা জায়েয।

৬. চেনার উদ্দেশ্যে কাউকে ছদ্মনাম বা খারাপ উপনামে ডাকা জায়েয (তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে নয়)।

তথ্য সূত্র: আল্লামা ইমাম নববী রচিত মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ এবং তাফহীমুল কুরআন।

Did you like this? Share it:

About কিতাবুল ইলম

রাসুল সাঃ বলছেন, "প্রচার কর, যদিও তা একটি মাত্র আয়াত হয়" সেই প্রচারের লক্ষে আমরা। 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a Reply