নির্বাচিত পোস্টসমূহ
Home » Rakib » বর্ষবরণে আপত্তি নেই, আপত্তি অপসংস্কৃতি ও হিন্দুয়ামী সংস্কৃতি চর্চাতে।

বর্ষবরণে আপত্তি নেই, আপত্তি অপসংস্কৃতি ও হিন্দুয়ামী সংস্কৃতি চর্চাতে।

পহেলা বৈশাখ আমাদের বাংলা সালের প্রথম দিন। ঐতিয্যগত ভাবেই এ দিনটি আমাদের জাতীয় উতসবের দিন। আমরা জাতিগত উৎসব পহেলা বৈশাখ ঐতিয্যগত ধারার মাধ্যমে উদযাপন করবো। কোন নব্য আবিষ্কৃত সংস্কৃতি, বিজাতীয় মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে নিজে দূরে থাকবো, মুসলিম ভাই-বোনদের বিরত রাখবো। আমরা বাঙ্গালী এবং বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে আছি। তবে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার সাথে নেই।

পহেলা বৈশাখ পালন সরাসরি হারাম বলে দেওয়ার তেমন কোনো যুক্তি দেখি না। তবে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে যে শিরকি কার্যকলাপ হয় তা নিঃসন্দেহে কুফরী এবং চরম গুনাহের কাজ। আমাদের বর্ষবরণে তেমন কোনো আপত্তি নেই কিন্তু এই বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে যে অপসংস্কৃতি ও হিন্দুয়ামী সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে আপত্তি সেই জায়গায়। একজন মুসলমান কখনোই মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক কুফরী কাজে লিপ্ত হতে পারেন না।

তাহলে একজন মুসলমান হিসেবে কিভাবে আমরা পহেলা বৈশাখ পালন করব?

-দু’রাকাত নফল নামাজ দিয়ে দিনটি শুরু করতে পারেন।
-গেল বছরের সকল গুনাহের জন্য মাফ চাইতে পারেন।
-একে অন্যকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।
-বাসায় ভালোমন্দ রান্না করতে পারেন।
-আত্বীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে বাসায় একটি পারিবারিক আড্ডা হয়ে যেতে পারে।
-এতিম- মিসকিনদের স্নেহ মমতা দিয়ে কিছু ভালোমন্দ খাওয়াতে পারেন।
-দোকানিদের হালখাতা উপলক্ষে সাধ্যমত পাওনা পরিশোধ করে দিতে পারেন।
-সরকারী ছুটি হিসেবে দেশের বাড়ি অথবা বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।
-দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়া বন্ধুদের সাথে বাইরে কোথাও আড্ডা দেয়া যেতে পারে। আড্ডাতে ব্যক্তিগত বিষয় আলোচনা ছাড়াও, দ্বীনি বিষয় আলোচনা হতে পারে।

এক কথায় আমরা এমন কোনো কাজ করব না যা শরীয়তের বিপক্ষে চলে যায়। যেকোনো একটি দিনকে উদযাপন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিভাবে উদযাপন করবেন এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক পবিত্র দিনকে মানুষ খারাপভাবে অর্থাত যা শরীয়ত সম্মত নয়, সেইসব কাজের মাধ্যমে উদযাপন করে, তার মানে এই নয় যে ওই পবিত্র দিনকে উদযাপন করা যাবে না। আবার একইভাবে অনেক মানুষ সাধারণ কিছু দিনকে ইবাদতের মাধ্যমে অসাধারণ করে পালন করেন।

তাই আসুন, নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলি। ভালো কাজ ও ইবাদতের মাধ্যমে নতুন বছর শুরু করি। শুধু ১৪২২ বাংলা সালের নয়, বরং তার আগে থেকে জীবনে যা গুনাহ করেছি তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সকল ভুল স্বীকার করে তাওবা করি। আল্লাহ তো খুবই ক্ষমশীল, ভালোভাবে চাইতে পারলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন, ইন-সা-আল্লাহ।

সবাইকে বাংলা ১৪২৩ নববর্ষের শুভেচ্ছা।

সংকলন: রাকিবুর রহমান খান

Did you like this? Share it:

About কিতাবুল ইলম

রাসুল সাঃ বলছেন, "প্রচার কর, যদিও তা একটি মাত্র আয়াত হয়" সেই প্রচারের লক্ষে আমরা। 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a Reply