নির্বাচিত পোস্টসমূহ
Home » আল- হাদীস » হজ্জের মীকাতসমূহের (ইহরাম বাঁধার স্থান) বর্ণনা

হজ্জের মীকাতসমূহের (ইহরাম বাঁধার স্থান) বর্ণনা

আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা,সিরিয়ার অধিবাসীদের জন্য জুহফা,নজদের অধিবাসীদের জন্য কারন এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে (হজ্জ উমরার জন্য) মীকাত বা ইহরাম বাঁধার স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, উল্লেখিত স্থানগুলো এই লোকদের জন্য যেমন ইহরামের স্থান অনুরূপভাবে যেসব লোক হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে এইসব এলাকার বাইরে থেকে আসে তাদের জন্যও মীকাত। আর যারা এসব স্থানের অভ্যন্তরে বাস করে তাদের ঘরই তাদের জন্য ইহরামের স্থান। এমনিভাবে,(অর্থাৎ যারা যত নিকটে হবে) এমনকি মক্কাবাসীরা মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৬৯]

ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনার অধিবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা,সিরিয়ার অধিবাসীদের জন্য জুহফা,নজদের অধিবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে মীকাত বা ইহরাম বাঁধার স্থান নির্দিষ্ট করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এসব স্থান উল্লেখিত স্থানের লোকদের জন্য মীকাত, আর যারা এসব স্থানের অধিবাসী নন (অর্থাৎ এর বাইরে থেকে আগমনকারী) তারা যদি হজ্জ ও উমরার উদ্দশ্যে এই স্থান বরাবর অতিক্রম করে তাহলে তাদের জন্যও এগুলো ইহরামের স্থান। আর যারা মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসী তারা যেখানে আছে সেখান থেকেই (ইহরাম বেঁধে) শুরু করবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭০]

ইবনে উমার (রা:) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মদীনাবাসীগণ যুল-হুলাইফা থেকে,সিরিয়াবাসীগণ জুহফা থেকে এবং নজদবাসীগণ কারন থেকে (হজ্জ ও উমরার জন্য) ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি জানতে পেরেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ-ও বলেছেন যে, ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭১]

সালেম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমার ইবনে খাত্তাব (রা:) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (আবদুল্লাহ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ মদীনাবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান হল যুল-হুলাইফা,সিরিয়াবাসীদের জন্য মাহই’আহ অর্থাৎ জুহফা এবং নজদবাসীদের জন্য কারন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) আরো বলেন, লোকেরা বলে থাকে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইয়ামানের অধিবাসীদের জন্য মীকাত হল ইয়ালামলাম কিন্তু আমি নিজে এ কথা তাঁর কাছ থেকে শুনিনি।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭২]

ইবনে উমার (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদেরকে যুল-হুলাইফা,সিরিয়াবাসীদেরকে জুহফা এবং নজদের অধিবাসীদেরকে কারন নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমাকে এ মর্মে খবর দেয়া হয়েছে যে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইয়ামানবাসীরা ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭৩]

সালেম থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মদীনাবাসীরা যুল-হুলাইফা থেকে,সিরিয়াবাসীরা জুহফা থেকে এবং নজদবাসীরা কারন থেকে ইহরাম বাঁধবে। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমাকে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ইয়ামানের অধিবাসীরা ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে। কিন্তু এ কথা আমি নিজে তাকে বলতে শুনিনি।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭৪]

আবূ যুবায়ের থেকে বর্ণিত। তিনি জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) কাছে মীকাত সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুনেছেন। তিনি উত্তরে বললেন, আমি শুনেছি …। অতঃপর আবূ যুবায়ের হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন। আবূ যুবায়ের বলেন, জাবির (রাঃ) এ হাদীসটি সরাসরি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭৫]

আবূ যুবায়ের বর্ণনা করেন, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে মীকাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি সম্ভবতঃ বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ মদীনাবাসীর জন্য ইহরামের স্থান হল যুল-হুলাইফা, অন্য পথে অর্থাৎ সিরিয়ার পথে আগমন করলে জুহফা, ইরাকবাসীদের জন্য যাতু-ইরক, নজদবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম (ইহরামের স্থান)।
[সহীহ মুসলিম,৪র্থ খণ্ড,হাদীসঃ২৬৭৬]

Did you like this? Share it:

About কিতাবুল ইলম

রাসুল সাঃ বলছেন, "প্রচার কর, যদিও তা একটি মাত্র আয়াত হয়" সেই প্রচারের লক্ষে আমরা। 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a Reply