নির্বাচিত পোস্টসমূহ
Home » ইসলাম » মিসরবাসীদের কুমারী-বলির প্রথা রহিতকরণের ঘটনা

মিসরবাসীদের কুমারী-বলির প্রথা রহিতকরণের ঘটনা

হযরত আমর বিন আস (রা) যখন মিসর জয় করেন, তখন “বুনা” মাস (তৎকালীন মিসরীয় ক্যালেন্ডারের ১টি মাস) আসার পর দেশবাসী তাঁকে জানালো-

“আমীর!! আমাদের ১টি প্রথা আছে, এই মাসের ১২ তারিখের রাত শেষ হলে আমরা ১টি কুমারী মেয়েকে অলংকার ও পোশাকে সাজিয়ে নীল নদে ফেলে দেই(HUMAN SACRIFICE)।। এটি পালন না করলে নীল নদ প্রবাহিত হয় না।।”

শুনে আমর বিন আস (রা) বললেনঃ
“এটা ইসলাম!! এসব চলবে না।। ইসলাম সকল কুসংস্কারকে নির্মূল করে দিয়েছে।।”

এরপর পরপর ৩ মাস বুনা, আবীব ও মাসরা তারা কাটিয়ে দেয় কিন্তু নীল নদ আর প্রবাহিত হয় না।। ফলে দেশবাসী দেশ ত্যাগ করতে মনস্থ করে।।

তখন আমর বিন আস (রা) এ বিষয়ে জানিয়ে তৎকালীন আমীরুল মূ’মিনীন হযরত উমর (রা) এর নিকট চিঠি পাঠান।। উত্তরে জানানো হয়-
“তুমি যা করেছ ঠিক করেছ।। এই চিঠির সাথে ১টা কাগজ রয়েছে তা তুমি নীল নদে ফেলে দাও।।”

আমর বিন আস(রা) দেখেন কাগজে লেখা আছে-
“আল্লাহের দাস, উমর বিন খাত্তাব (রা) হতে নীল নদের নিকট পত্র।।

যদি তুমি নিজ ক্ষমতায় প্রবাহিত হও তাহলে তোমার প্রবাহিত হওয়ার দরকার নাই।। আর যদি তুমি পরম শক্তিশালী এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহের নির্দেশে প্রবাহিত হওয়ার হও, তাহলে ঐ আল্লাহের কাছেই আমাদের দোয়া, যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন।।”

হযরত আমর বিন আস (রা) চিঠিটি নীল নদ-এ ফেলে দিলে, সকাল-এ দেখা গেল আল্লাহ এর ইচ্ছায় নীল নদের পানি ১ রাতের ভেতর ১৬ হাত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।।

এভাবেই আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে মিসরীয়দের এই কুপ্রথা চিরতরে বন্ধ করে দেন।।

সূত্রঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া

Did you like this? Share it:

About কিতাবুল ইলম

রাসুল সাঃ বলছেন, "প্রচার কর, যদিও তা একটি মাত্র আয়াত হয়" সেই প্রচারের লক্ষে আমরা। 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a Reply