নির্বাচিত পোস্টসমূহ
Home » ওলি- আউলিয়া » হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহঃ) এর জীবনী।

হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহঃ) এর জীবনী।

হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর শিক্ষা শেষে কুরআনে হাফেজ ও ইসলামি দর্শন ও তত্ত্বশাস্ত্রেও প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি জাহেরি জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ধ্যান সাধনার মাধ্যমে বাতেনি জ্ঞান অর্জন করেন এবং তিনি প্রায় ত্রিশ বছর বয়সেই আধ্যাত্মিক সূফী জ্ঞানে পরিপূর্ণতা বা কামালিয়াত অর্জন করেন।

ইতিহাস থেকে জানা যায় হযরত শাহজালাল (রহঃ) একদিন স্বপ্নযোগে রাসুলে পাক (দঃ)-এর পক্ষ থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের গৌড় রাজ্যে ইসলাম প্রচারের জন্য আদেশপ্রাপ্ত হন। তিনি এই স্বপ্নের কথা তাঁর স্বীয় মুর্শিদ হযরত সৈয়দ আহমদ কবির (রহঃ)-এর কাছে বলার পরে তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর হাতে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেছিলেন- ‘যে মাটির রং ও গন্ধ এই মাটির সঙ্গে মিলবে সেখানেই তুমি অবস্থান নেবে এবং সেখান থেকেই তুমি ধর্ম প্রচার করবে।’ ভারতে আগমনের বহু পূর্বেই তিনি উচ্চস্থানীয় আধ্যাত্মিক সূফী সাধক বা কামেল অলি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

হযরত শাহ্জালাল স্বীয় মুর্শিদের আদেশ পেয়ে ১২ জন দরবেশকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দুস্থান তথা ভারতের উদ্দেশে রওনা হলেন। তবে তিনি প্রথমে তার জন্মস্থান ইয়েমেনে শেষবারের মতো যান। ইয়েমেনে এই সাধক মহাপুরুষের আগমন সংবাদে অনেক সত্যান্বেষী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যাকুল হলে তৎকালীন অত্যাচারী শাসক হযরত শাহজালাল ইয়েমেনীকে হত্যার উদ্দেশে বিষ মিশিয়ে শরবত প্রেরণ করেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তার দিব্যজ্ঞান দ্বারা শাসকের দুরভিসন্ধি বুঝে ফেলেন এবং মুচকি হেসে বললেন ‘এই পানপাত্রের শরবত সাধারণের জন্য বিষ মিশ্রিত হলেও আমি মুসাফির ফকিরের কাছে তা অমৃতের মতো এবং মধুমিশ্রিত এই বলে তিনি তা পান করেন। আল্লাহর অলিদের আল্লাহ স্বয়ং রক্ষা করে থাকেন; কোনো বিষক্রিয়া তো দেখাই গেলো না বরং রাজা নিজ রাজপ্রসাদেই বিষের যন্ত্রণায় প্রাণ হারালেন। পরবর্তীতে ঐ রাজার পুত্র রাজার স্থলাভিষিক্ত হলেও তিনি পরবর্তীতে রাজ্য ত্যাগ করে হযরত শাহজালালের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন।

হযরত শাহ্জালাল (রহঃ) ইয়েমেন থেকে বাগদাদে আসেন এবং সেখানে কিছুদিন অবস্থানের পর পারস্যে আসেন। পারস্য থেকে তিনি আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান হয়ে ১৩০৩ সনে দিল্লিতে পৌঁছান। ভারতে পৌঁছার পর তিনি হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী [১১৪১-১২৩০] (রহঃ)-এর মাজার জিয়ারত করে তাঁর কাছ থেকেও ফায়েজপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি সুলতানুল মাশায়েখ হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া [১২৩৮-১৩২৫] (রহঃ)-এর আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। বিদায়কালে তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-কে সুরমা রংয়ের দুই জোড়া কবুতর উপহার দেন যা ‘জালালি কবুতর’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান বা অন্য সম্প্রদায়ের কেউ এই কবুতরকে হত্যা করে না কেননা মানুষের মনের বিশ্বাস যে, এই কবুতর কেউ হত্যা করলে তার অমঙ্গল নিশ্চিত। আবার এই কবুতর আপন ইচ্ছায় কারো গৃহে বাসা বাঁধলে তার মঙ্গল সুনিশ্চিত। হিন্দু মুসলমানসহ সকলের কাছে এই ধারণা যুগ যুগ থেকে চলে আসছে। প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হযরত শাহজালাল তাঁর মহানুভবতা দিয়ে এই পায়রা শ্রেণীকে নতুন এক মর্যাদা দান করেছেন।

তৎকালীন শ্রীহট্টের অধিপতি রাজা গৌড় গোবিন্দ জাদুবিদ্যায় পারদর্শী একজন মুসলিম বিদ্বেষী শাসক ছিলেন। তৎকালীন শ্রীহট্ট বর্তমান সিলেট শহরের পূর্বদিকে টোল টিকর নামক স্থানে শেখ বুরহানউদ্দিন নামে একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি সন্তানপ্রাপ্তির আশায় একটি গরু কুরবানির মানত করেন এবং আল্লাহ তাকে একটি পুত্রসন্তান দান করেন। শেখ বুরহানউদ্দিনের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জগতের সকল সুখ-দুঃখ আল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং এর পেছনে তাঁর নিগূঢ় উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। যথারীতি পুত্রপ্রাপ্তির পর তিনি গরু কুরবানি করেন। কুরবানির এক টুকরা গোশত চিল ছোঁ মেরে নিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে তা গৌড় গোবিন্দের প্রাসাদের সামনে পড়ে। রাজা ক্রোধান্বিত হয়ে গো হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন এবং অনুসন্ধানে শেখ বুরহানউদ্দিনকে দায়ী করে রাজার সামনে উপস্থিত করা হয়। শেখ বুরহানউদ্দিন অকপটে গরু জবাইয়ের কথা স্বীকার করলে রাজা তার ডান হাত কেটে নেন এবং শিশুসন্তানটিকে হত্যা করেন।

অশান্তি আর মানসিক যন্ত্রণা তাড়া করে বেড়াতে লাগলো শেখ বুরহানউদ্দিনকে। পুত্রশোকে কাতর শেখ বুরহানউদ্দিন পাগলপ্রায় হয়ে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিনের দরবারে পৌঁছে রাজা গৌড় গোবিন্দের অত্যাচারের নির্মম কাহিনী বর্ণনা করে নালিশ জানান। সুলতান এই করুণ কাহিনী শুনে বড়ই মর্মাহত হলেন এবং রাজাকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য স্বীয় ভগ্নিপুত্র সেকান্দার শাহ্কে প্রধান করে সৈন্যসহ শ্রীহট্টে পাঠান। সেকান্দার শাহ্রে বাহিনী শ্রীহট্টে পৌঁছার পূর্বেই রাজা গৌড় গোবিন্দ তাদের ওপরে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করেন। সৈন্যদের অগ্নিবাণ সম্বন্ধে ধারণা না থাকায় বহু সৈন্য নিহত হয়। সেকান্দার শাহ্ এই অবস্থা দেখে পশ্চাৎপদ হয়ে আরো প্রায় দুবার প্রচেষ্টা করেও সফল হতে পারলেন না এবং তিনি তা দিল্লির সম্রাটকে অবহিত করেন। দিল্লির সম্রাট সৈয়দ নাসিরউদ্দিন শাহ্কে সেকান্দার শাহ্কে সহযোগিতার জন্য প্রেরণ করেন। অতঃপর তিনি দিল্লি থেকে এলাহাবাদে পৌঁছালে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সাইয়্যেদ নাসিরউদ্দিন হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মুরিদও হয়ে গেলেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) ইয়েমেন থেকে ১২ জন সঙ্গী নিয়ে রওনা করলেও শ্রীহট্টে আসার সময় তার সঙ্গী সংখ্যা ছিল ৩৬০ জন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) ৩৬০ জন শিষ্য এবং বাদশাহের প্রেরিত সেনাদলসহ সোনারগাঁওয়ে সেকান্দার শাহ্রে সঙ্গে মিলিত হন। তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর পরিচয় পেয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন এবং বিশেষভাবে গৌড় গোবিন্দের অগ্নিবাণই তাদের পরাজয়ের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাকে উৎসাহ দিয়ে কোনো ভয় নেই বলে আশ্বস্ত করলেন এবং বলেন, হযরত মুসা (আঃ) যেভাবে ফেরাউনের সমস্ত জাদুকে নিষ্ক্রিয় করেছিলেন আল্লাহর দয়ায় আমরাও গৌড় গোবিন্দের জাদু নষ্ট করে দেবো। তার কর্মের জন্য তার পরাজয় এবং সিংহাসনচ্যুতি সুনিশ্চিত ও অনিবার্য।

অতঃপর তারা ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে পৌঁছে দেখলেন পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর নিজের জায়নামাজ বা নামাজের চাদরে চড়ে সকলকে নিয়ে পার হন এবং গৌড় গোবিন্দের এলাকা শ্রীহট্টের দিকে অগ্রসর হন। গৌড় গোবিন্দ যখন খবর পান যে, এক মুসলিম ফকির তার শিষ্য ও সেকান্দার শাহের সৈন্যবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তার এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তখন তিনি তাদের দিকে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন কিন্তু এবারের অগ্নিবাণ কোনো ক্রিয়া না করে উল্টো গৌড় গোবিন্দের দিকে ফিরে আসতে লাগলো এবং তার সৈন্যবাহিনীর ছাউনি ধ্বংস হয়ে গেলো। গৌড় গোবিন্দ এই অলৌকিক ঘটনা দেখে নিজের প্রাণরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল (রহঃ) সদলবলে বাহাদুরপুরের নিকটবর্তী বুরাক নদী পার হয়ে জালালপুরে উপনীত হলেন।

রাজা পথিমধ্যে বিভিন্ন শিলাপাথর ও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে বাধা তৈরি করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। গৌড় গোবিন্দ নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে কাছাড়ের দিকে পালিয়ে গেলেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) সুরমা নদী পার হয়ে শ্রীহট্ট বা সিলেট শহরে প্রবেশ করলেন।

এখানে সিলেট নামকরণে একটা কথা প্রচলিত আছে আর তা হলো হযরত শাহজালাল (রহঃ) যখন সিলেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন রাজার তৈরি করা ব্যারিকেডের শিলাপাথরকে “শিল হট যা” বলে উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে শিলাপাথরগুলো সরে গিয়েছিল বলে জানা যায়। এখান থেকেই সিলেটের নামকরণ হয়েছে বলে ধরা হয়।

সিলেট বিজয়ের পর তিনি সেকান্দার শাহকে রাজ্য বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর মুর্শিদের কথামতো তিনি তাঁর ধর্মপ্রচারের স্থানের ব্যাপারে চিন্তা করতে লাগলেন। পূর্বেই তিনি তাঁর মুর্শিদ প্রদত্ত মাটি একজনের জিম্মায় প্রদান করেছিলেন যিনি চাশনী পীর নামেও খ্যাত এবং তাঁর প্রতি আদেশ ছিল পথে এই মাটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য। এই চাশনী পীর এসে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-কে সিলেটের মাটির সঙ্গে তাঁর মুর্শিদের প্রদত্ত মাটির মিলের কথা জানালে তিনি চিন্তামুক্ত হয়ে আস্তানা গাড়ার আদেশ দিলেন।

হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সাহচার্য পাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসতে লাগলো এবং তিনি তাদের ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানদান করেন। তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনার্থে তিনি তার শিষ্যদের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারের আদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। তন্মধ্যে হযরত শাহ পরান সিলেট, হযরত শাহ মালেক ঢাকা, সৈয়দ আহমদ ওরফে কল্লাশহীদ কুমিল্লায়, চট্টগ্রামে খাজা বুরহানউদ্দিন কাত্তান ও শাহ বদরুদ্দীন, সুনামগঞ্জে শাহ্ কামাল কাত্তানী প্রমুখ। হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে ৩৬০ জন সঙ্গী হিসেবে যারা এসেছিলেন তাদের সকলের নাম জানা সম্ভব না হলেও ১৯৭৪ সালে ইংরেজি ভাষায় সিলেট ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে ৩৫৫ জনের নাম সমৃদ্ধ একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ‘শ্রীহট্ট নূর’ গ্রন্থে ৩০৭ জন আউলিয়ার নাম পাওয়া যায়। মর্তুজা আলী ‘সুহেল ই ইয়ামেন’-এ ২৫২ জন আউলিয়ার নাম উল্লেখ করেন। আল ইসলাহে মোঃ নুরুল হক ৩২২ জন আউলিয়ার নাম উল্লেখ করেন।

হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর শেষ জীবন পর্যন্ত ধর্ম প্রচার করে গেছেন। তার ব্যবহার ও অন্যান্য গুণাবলী লক্ষ করে বহু হিন্দু এবং বৌদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করেন। বিশ্বের নামকরা পর্যটক মরক্কো তানজানিয়ার অধিবাসী শায়খ সরফ উদ্দিন আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে সিলেট সফরে এসে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। ইবনে বতুতা সিলেটকে কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত অঞ্চল বলে উল্লেখ করেন এবং সমুদ্র তীরবর্তী একটি গহিন বনভূমি বলেও বর্ণনা করেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী হযরত শাহজালাল (রহঃ) পাতলা গড়ন ও খুবই সুন্দর চেহারার অধিকারী এবং বেশ লম্বা ছিলেন। তিনি ছাগলের দুধ পান করতেন। সারা বছরই বলতে গেলে তিনি রোজা রাখতেন ও সারা রাত এবাদতে মশগুল থাকতেন। ইবনে বতুতা ‘রিহালা ইবনে বতুতা’য় হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের বিভিন্ন বর্ণনা প্রদান করেন। মোগল কবি হযরত আমির খসরুর কবিতার বইয়েও হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সিলেট বিজয়ের উল্লেখ আছে।

হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মৃত্যুবরণের সঠিক তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু ইবনে বতুতার বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ১৫০ বছর বয়সে ৭৪৭ হিজরি ১৩৪৭ সালে ওফাত গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি সিলেটেই সমাহিত হন এবং তাঁর সমাধিস্থল দরগা মহল্লা নামে পরিচিত। তার দরগাহের পাশে এক ধরনের বিশেষ মাছের উপস্থিতি রয়েছে যা অনেকটা এদেশের গজার মাছের মতো কিন্তু তা গজার মাছ নয়। তাঁর বাৎসরিক ওরস আরবি জিলকদ মাসের ১৮, ১৯, ২০ তারিখ পর্যন্ত পালন হয়ে থাকে।

Did you like this? Share it:

About কিতাবুল ইলম

রাসুল সাঃ বলছেন, "প্রচার কর, যদিও তা একটি মাত্র আয়াত হয়" সেই প্রচারের লক্ষে আমরা। 'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a Reply