আজকের দিনে আমরা দেখি মুসলমানরা দাড়ি রাখতে নারাজ আবার অনেকে দাড়ি নাই সুন্নতি লেবাস নাই এমনকি সে ইসলাম প্রচার ও করতেছে আর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে অথচ দাড়ি হলো ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি পালন করে গেছেন।
হযরত আবদুুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ মোবারাক করেন, “মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর।দাড়িগুলো বৃদ্ধি কর এবং গোফগুলো কেটে ফেল। “(বুখারী, ২য় খন্ড -২৮৭পৃঃ)
প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ দাড়ি রাখা নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম গনের মহান সুন্নাত। এবং একমাত্র সুন্নত যা নিয়ে কবরে যাওয়া যাবে এছাড়া আর কুনো সুন্নত নাই যা নিয়ে মালিকের সামনে হাজির হওয়া যাবে।
ইসলামে দাড়ির গুরুত্ব কতটুকু ??? |
দাড়ি রাখার ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নির্দেশও রয়েছে।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি তোমাদের যা দান করেন তা তোমরা অর্জন করো এবং যা হতে নিষেধ করেন তা তোমরা বর্জন করো। (সুরা হাশর-৭ আয়াত)
দাড়ির প্রয়োজনীয়তাঃ তৎকালীন সময়ে কতেক মুশরিক গোফঁ বড় করতেন এবং দাড়ি মুন্ডাতেন অথবা চামড়ার সাথে লাগিয়ে হালকা রাখতেন যা উপহাসের নামান্তর। তা দেখে হুজুর ইরশাদ ফরমান গোফঁ কেঁটে ফেলো, দাড়ি বৃদ্ধি করো, অগ্নি পুজকদের বিরুদ্ধাচরণ করো -(মুসলিম ১ম খন্ড -১২৯পৃঃ)
আধুনিক আমেরিকান বিজ্ঞানীরাও একথা বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, গোফঁ কাটার দরুন চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়। দাড়ি বৃদ্ধির ফলে মানুষের যৌবনত্ব বৃদ্ধি পায়। দাড়ির পরিমাণঃ দাড়ি এক মুটি হওয়া শেষ সীমা। তার চেয়ে কম রাখা না রাখার নামান্তর বরং হিন্দু খৃষ্টানদদের কুপ্রথা।
দাড়ি বিহীন কোন ইসলামী সৈনিক দাওয়াত দিলে তা ফাসেকের দাওয়াত হিসাবে সাব্যস্ত। (মিরআত-১ম খন্ড)
দাড়ি মুন্ডানো ব্যক্তির ইমামতিঃ দাড়ি মুন্ডানো ব্যক্তি ফাসেক। তার ইমামতি জায়েয নেই। কেউ ভূলক্রমে নামায আদায় করে ফেললে পুনরায় পড়ে নিতে হবে। (একে বারে দাড়ি না গজালে পড়া যাবে। তবে নাবালেগ হলে নয়)। (আহকাম-ই-শরীয়ত) ।